Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

গ্রামআদালতবিধিমালা

গ্রাম আদালত বিধিমালা ও আইন

বিধি-১ (সংক্ষিপ্ত নাম ও প্রারম্ভ)

অত্র বিধিমালা ১৯৭৬ সনের গ্রাম আদালত বিধিমালা নামে অভিহিত হইবে ।

 

বিধি-২ ( বিষয়বস্তু বা প্রসংগে বিপরীত কিছু না থাকিলে অত্র বিধিমালায় )

(ক) ''ফরম'' বলিতে অত্র বিধিমালার সহিত সংযোজিত ফরম বুঝাইবে ।

(খ) ''অধ্যাদেশ'' বলিতে ১৯৭৬ সনের গ্রাম আদালত ''অধ্যাদেশ (১৯৭৬ সনের ৬১ নং অধ্যাদেশ) বুঝাইবে;

(গ) 'খণ্ড' বলিতে অধ্যাদেশের তফসিলের কোনো খণ্ড বুঝাইবে;

(ঘ) ''আবেদনকারী'' বলিতে যে ব্যক্তি অধ্যাদেশের ৪ ধারা অনুসারে কোনো দরখাস্ত করে, তাহাকে বুঝাইবে;

(ঙ) ''প্রতিবাদী'' বলিতে যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে কেহ অধ্যাদেশের ৪ ধারা অনুসারে কোনো দরখাস্ত করে, তাহাকে বুঝাইবে; এবং

(চ) 'ধারা' বলিতে অধ্যাদেশের কোনো ধারা বুঝাইবে ।

 

বিধি-৩ : (১) ৪ ধারার (১) উপধারা অনুসারে কোনো দরখাস্ত লিখিতভাবে করিতে হইবে এবং উহা আবেদনকারী কতৃর্ক স্বাক্ষরিত হইবে ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট দাখিল করিতে হইবে ।

(২) উপবিধি (১) অনুসারে লিখিত দরখাস্তে নিম্নলিখিত বিবরণগুলি থাকিতে হইবে; যথাঃ

(ক) যে ইউনিয়ন পরিষদে দরখাস্ত করা হইতেছে উহার নাম;

(খ) আবেদনকারীর নাম, পরিচয় ও বাসস্থান;

(গ) প্রতিবাদীর নাম, পরিচয় ও বাসস্থান;

(ঘ) যে ইউনিয়নে অপরাধ সংঘটিত বা নালিশের কারণ উদ্ভব হইয়াছে উহার নাম;

(ঙ) নালিশ অথবা দাবির প্রকৃতি ও তায়দাদ, সংক্ষিপ্ত বর্ণনাসহ; এবং

(চ) যেই সমস্ত প্রতিকার দাবি করা হইতেছে ।

(৩) এই বিধি অনুসারে দরখাস্ত তফসিলের প্রথম খন্ড সংক্রান্ত হইলে দুই টাকা ফী এবং দ্বিতীয় খণ্ড সংক্রান্ত হইলে চার টাকা ফী দরখাস্তের সহিত দাখিল করিতে হইবে ।

 

বিধি-৪ : ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যখন ৪ ধারার (১) উপধারা অনুসারে দরখাস্ত প্রত্যাখ্যান করিবেন, তখন উহার উপর প্রদত্ত আদেশ সহকারে দরখাস্তটি আবেদনকারীর নিকট ফেরত দিতে হইবে ।

 

বিধি-৫ : (১) প্রত্যাখ্যানের তারিখ হইতে ৩০ দিনের মধ্যে ৪ ধারার (২) উপধারা অনুসারে রিভিশনের দরখাস্ত এখতিয়ারসম্পন্ন সহকারী জজ-এর নিকট দাখিল করিতে হইবে ।

(২) উপবিধি (১) অনুসারে দরখাস্ত লিখিত ও বাদী কতৃর্ক স্বাক্ষরিত হইতে হইবে । উহাতে পক্ষগণের নাম, বিবরণ ও ঠিকানা থাকিতে হইবে এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যে মূল দরখাস্ত প্রত্যাখান করিয়া ফেরত দিয়াছিলেন তাহাও এই দরখাস্তের সহিত দাখিল করিতে হইবে । যেই সকল হেতুবাদে রিভিশন দরখাস্ত করা হইতেছে, সংক্ষেপে তাহাও দরখাস্তে উল্লেখ করিতে হইবে ।

 

বিধি-৬ : যে সহকারী জজের নিকটে ৪ ধারার (২) উপধারা অনুসারে দরখাস্ত করা হইবে, তিনি যদি এইরূপ অভিমত পোষণ করেন যে, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কতৃর্ক প্রদত্ত আদেশটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত বা বহুলাংশে অন্যায়, তবে তিনি দরখাস্ত গ্রহণ করার জন্য চেয়ারম্যানের প্রতি নির্র্দেশ সম্বলিত লিখিত আদেশ দান করিবেন এবং অনুরূপ আদেশসহ আবেদনকারীকে উহা ফেরত দিবেন ।

 

বিধি-৭ : (১) আবেদন গৃহীত হইলে ১নং ফরমে রক্ষিত রেজিস্টারে উহার বিবরণসমূহ লিপিবদ্ধ করিতে হইবে এবং উক্ত রেজিস্টারে মামলার যে নম্বর ও বত্সর লিপিবদ্ধ হইবে, তাহা দরখাস্তের উপরেও লিখিতে হইবে ।

(২) যখন ৮ ধারার (২) উপধারা অনুসারে থানা ম্যাজিস্ট্রেট বা সহকারী জজ কোন মামলা পুনর্বিবেচনার জন্য ফেরত পাঠাইবেন, তখন তাহা ১নং ফরম রেজিস্টারে নূতন করিয়া তালিকাভুক্ত করিতে হইবে এবং নূতন মামলা হিসাবে উহার শুনানি করিতে হইবে ।

 

বিধি-৮ : (১) ৭ বিধি অনুসারে দরখাস্ত রেজিস্ট্রি করিবার পর চেয়ারম্যান একটি নির্দিষ্ট তারিখে ও সময়ে হাজির হওয়ার জন্য আবেদনকারীকে নির্দেশ দিবেন এবং উক্ত নির্দিষ্ট তারিখে ও সময়ে হাজির হওয়ার জন্য প্রতিবাদীকে সমন দিবেন ।

(২) এই বিধিমালা অনুসারে প্রদত্ত সকল সমন দুই প্রস্থে লিখিত এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কতৃর্ক স্বাক্ষরিত ও সীলমোহরাঙ্কিত হইকে হইবে, এবং গ্রাম আদালত গঠিত হওয়ার পর গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান কতৃর্ক স্বাক্ষরিত ও সীলমোহরাঙ্কিত হইতে হইবে ।

(৩) যেক্ষেত্রে অন্যরূপ বিধান করা হইবে তদ্ব্যতীত সকল ক্ষেত্রে অত্র বিধিমালা অনুসারে প্রদত্ত প্রত্যেকটি সমন ইউনিয়ন পরিষদের একজন কমচারী কতৃর্ক অথবা ইউনিয়ন পরিষদ বা গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান কতৃর্ক এতদুদ্দেশ্যে নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি কতৃর্ক জারিকৃত হইতে হইবে ।

(৪) সমন দ্বারা যে ব্যক্তিকে আহবান করা হইয়াছে, সম্ভব হইলে ব্যক্তিগতভাবে সেই ব্যক্তির হাতে দুই প্রস্থ সমনের এক প্রস্থ অর্পণের দ্বারা সমন জারি করিতে হইবে ।

(৫) যাহার উপর সমন জারি করা হইবে, সেইরূপ প্রত্যেক ব্যক্তি সমনের অপর প্রস্থের বিপরীত পৃষ্ঠায় স্বাক্ষরের দ্বারা প্রাপ্তি স্বীকার করিবে ।

(৬) যথারীতি চেষ্টা করিয়াও যদি উপরোক্ত উপধারাসমূহের বর্ণিত উপায়ে সমন জারি করা সম্ভব না হয়, তাহা হইলে সমন প্রাপক যে গৃহে সচরাচর বসবাস করে, সমন জারি কারক কর্মচারী সেই গৃহের কোনো প্রকাশ্য অংশ এক প্রস্থ সমন লটকাইয়া দিবে এবং তদ্বারা সমন যথাবিহিতরূপে জারি হইয়াছে বলিয়া বিবেচিত হইবে ।

(৭) যে ব্যক্তির নামে সমন দেওয়া হইয়াছে, সেই ব্যক্তি যদি সেই ইউনিয়ন পরিষদের এখতিয়ার বহির্ভুত স্থানে বসবাস করে তবে ইউনিয়ন পরিষদের বা গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান ডাকযোগে (প্রাপ্তি স্বীকারের খরচসহ) রেজিস্ট্রি করিয়া সমন জারি করাইতে পারিবে এবং আবেদনকারীকে উহার খরচ বহন করিতে হইবে ।

 

বিধি-৯ : (১) প্রতিবাদীর প্রতি সমন ২নং ফরমে দিতে হইবে ।

(২) সাক্ষীর প্রতি সমন ৩নং ফরমে দিতে হইবে ।

 

বিধি-১০ : প্রতিবাদীর উপর সমন জারি হইবার পর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পক্ষগণকে সাত দিনের মধ্যে তাহাদের সদস্য মনোনয়ন করিতে বলিবে, এবং অনুরূপভাবে মনোনীত সদস্যবৃন্দ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে লইয়া গ্রাম আদালত গঠিত হইবে ।

 

বিধি-১১ : সদস্যগণের নাম প্রাপ্ত হইবার পর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ১নং ফরমের রেজিস্টারের সংক্ষিপ্ত কলামে উক্ত সদস্যগণের নাম লিপিবদ্ধ করিবে ।

 

বিধি-১২ : (১) যেক্ষেত্রে গ্রাম আদালত কোনো মামলা কোনো মামলার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পূর্বে যেকোনো সময় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ৫ ধারার (২) উপধারায় বর্ণিত কোনো কারণে গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান হিসাবে কাজ করিতে অপরাগ হয়, অথবা কোনো পক্ষ তাহার নিরপেক্ষতা সম্পর্কে প্রশ্ন উত্থাপন করে, সেই ক্ষেত্রে থানা নির্বাহী অফিসার, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট হইতে সংবাদ পাইলে অথবা কোনো পক্ষের নিকট হইতে লিখিত দরখাস্ত পাইলে গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান হিসাবে কাজ করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের যেকোনো সদস্যকে কোনো পক্ষ যে সদস্যকে তদীয় সদস্যরূপে মনোনীত করিয়াছে সেই সদস্য (ব্যতীত) নিযুক্ত করিতে পারিবেন ।

(২) উপবিধি (১) অনুসারে গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান নিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত থানা নির্বাহী অফিসার গ্রাম আদালতের কার্যক্রম স্থগিত রাখিতে পারিবেন ।

(৩) উপবিধি (১) অনুসারে নিযুক্ত গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যানের নাম ১নং ফরম রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে ।

 

বিধি-১৩ : গ্রাম আদালত গঠিত হইবার পর গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান তিন দিনের মধ্যে দরখাস্তের বিরুদ্ধে লিখিত আপত্তি দাখিল করার জন্য প্রতিবাদীকে নির্দেশ দিবেন এবং গ্রাম আদালতের অধিবেশন অনুষ্ঠানের জন্য একটি দিন সময় ও স্থান ধার্য করিবেন এবং পক্ষগণকে নিজ নিজ বক্তব্যের সমর্থনে প্রযোজনীয় সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজির করার নির্দেশ দিতে পারিবেন ।

বিধি-১৪: (১) গ্রাম আদালত ১৩ বিধি অনুসারে ধার্য তারিখে মামলার বিচার করিবে, কিন্তু উপযুক্ত কারণে আদালত বিভিন্ন সময়ে মামলার শুনানি মুলতবী করিতে পারিবে, তবে একেবারে অনুরূপ মুলতবীর মেয়াদ সাত দিনের অধিক হইবে না ।

(২) গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান সাক্ষীগণকে হলফ বা শপথ করিয়া জবানবন্দি করিতে বলিবেন এবং জবানবন্দির সারমর্ম লিপিবদ্ধ করিবেন বা করাইবেন ।

(৩) গ্রাম আদালত কোনো বিষয় সম্পর্কে পক্ষগণের মধ্যে বিরোধের ব্যাপারে মামলার যেকোনো পর্যায়ে সরেজমিনে তদন্ত অনুষ্ঠান করিতে পারিবে ।

 

বিধি-১৫ : (১) যদি কোনো মামলায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট হাজির হওয়ার জন্য নির্ধারিত তারিখে, অথবা গ্রাম আদালতে মামলার শুনানির জন্য নির্ধারিত তারিখে বাদী হাজির না হয়, এবং ইউনিয়ন পরিষদের বা গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান যদি এইরূপ মত পোষণ করেন যে, বাদী তাহার মামলা পরিচালনায় গাফিলতি করিতেছে তবে তাহার ত্রুটির জন্য দরখাস্ত খারিজ করা হইবে ।

(২) যেক্ষেত্রে উপবিধি (১) অনুসারে দরখাস্ত খারিজ হয়, সেইক্ষেত্রে মামলা পুনর্বহাল করার জন্য বাদী মামলা খারিজের তারিখ হইতে ১০ দিনের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের বা গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যানের নিকট লিখিতভাবে আবেদন করিতে পারিবে, এবং উক্ত চেয়ারম্যান যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, আবেদনকারী হাজির না হওয়ার উপযুক্ত কারণ ছিল এবং সে অবেহলার সহিত কাজ করেন নাই, তবে চেয়ারম্যান আবেদনকারীর দরখাস্ত পুনর্বহাল করিতে ও উহা শুনানির জন্য একটি তারিখ ধার্য করিতে পারিবেন ।

 

বিধি-১৬ : (১) যদি কোনো মামলা গ্রাম আদালতে শুনানির জন্য ধার্য তারিখে প্রতিবাদী হাজির না হয়, এবং গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান যদি এইরূপ মত পোষণ করেন যে, সে গাফিলতি করিয়াছে, তবে প্রতিবাদীর অনুপস্থিতিতেই মামলার শুনানি করিয়া নিষ্পত্তি করা হইবে ।

(২) যেক্ষেত্রে কোনো মামলায় উপবিধি (১) অনুসারে প্রতিবাদীর অনুপস্থিতিতেই শুনানি অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রতিবাদীর বিরুদ্ধে নিষ্পত্তি হয়, সেই ক্ষেত্রে প্রতিবাদী মামলা পুনর্বহাল করার জন্য উক্ত সিদ্ধান্তের তারিখ হইতে ১০ দিনের মধ্যে গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যানের নিকট লিখিতভাবে আবেদন করিতে পারিবে, এবং চেয়ারম্যান যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, তাহার হাজির না হওয়ার উপযুক্ত কারণ ছিল এবং সে অবহেলার সহিত কাজ করে নাই, তবে চেয়ারম্যান মামলা পুনর্বহাল করিতে ও উহার শুনানির জন্য একটি তারিখ ধার্য করিতে পারিবেন ।

 

বিধি-১৭ : (১) গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্ত আদালতের চেয়ারম্যান ১নং ফরম রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করিবেন ।

(২) উপবিধি (১) অনুসারে লিপিবদ্ধ প্রত্যেকটি সিদ্ধান্তে উল্লেখ থাকিবে যে, সিদ্ধান্তটি সর্বসম্মত কিনা, এবং যদি সর্বসম্মত না হয়, তবে যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অনুপাতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইয়াছে, উহার উল্লেখ থাকিবে ।

 

বিধি-১৮ : গ্রাম আদালতের প্রত্যেকটি সিদ্ধান্ত আদালতের চেয়ারম্যান প্রকাশ্য আদালতে গোষণা করিবেন ।

 

বিধি-১৯ : (১) ৮ ধারার (২) উপধারা অনুসারে দরখাস্ত লিখিত হইতে হইবে, আবেদনকারী কতৃর্ক স্বাক্ষরিত হইতে হইবে, এবং তাহাতে পক্ষগণের নাম, বিবরণ ও ঠিকানা উল্লেখ করিতে হইবে, এবং তাহাতে পক্ষগণের নাম, বিবরণ ও ঠিকানা উল্লেখ করিতে হইবে এবং দরখাস্তের হেতুবাদগুলিও সংক্ষেপে উল্লেখ করিতে হইবে ।

(২) গ্রাম আদালতের প্রদত্ত ডিক্রি বা আদেশের একটি অনুলিপি আদালতের চেয়ারম্যান কতৃর্ক সহিমোহরাঙ্কিত করিয়া দরখাস্তের সহিত সংযোজিত করিয়া দিতে হইবে ।

 

বিধি-২০ : প্রত্যেক মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার পর ৪নং ফরমে একটি ডিক্রি প্রস্তুত করিতে হইবে এবং গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান কতৃর্ক তাহা স্বাক্ষরিত হইতে হইবে ।

 

বিধি-২১ : (১) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ৫নং ফরমে ডিক্রিসমূহের রেজিস্টারে বিবরণ লিপিবদ্ধ করিবেন ।

(২) ৮ ধারার (২) উপধারা অনুসারে থানা ম্যাজিস্ট্রেট অথবা সহকারী জজ যে আদেশ দান করিবেন, তাহা যথাসময়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবগত করা হইবে এবং তদনুসারে চেয়ারম্যান ডিক্রি আদেশ সংশোধন করিবেন এই সম্পর্কে প্রয়োজনীয় বিষয় ৫নং ফরমে ডিক্রিসমূহের রেজিস্টারেও লিপিবদ্ধ করিবেন ।

 

বিধি-২২ : ডিক্রির টাকা বা ক্ষতিপূরণের টাকা কতদিনের মধ্যে পরিশোধ করিতে হইবে, তাহা গ্রাম আদালতই স্থির করিবে । এই সময়ের মেয়াদ কোনোক্রমেই চূড়ান্ত আদেশের তারিখ হইতে ছয় মাসের অধিক হইবে না ।

 

বিধি-২৩ : কোনো বিরোধের যে কোনো পক্ষের আবেদনক্রমে গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান, অথবা যেক্ষেত্রে গ্রাম আদালত নাই, সেইক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পঁচাত্তর পয়সা ফী আদায় করিয়া বিরোধ সম্পর্র্কে গ্রাম আদালতের নথিপত্র পরিদর্শন করিবার অনুমতি দান করিবেন ।

 

বিধি-২৪ : বিরোধের কোনো পক্ষের আবেদনক্রমে গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান, অথবা যেক্ষেত্রে গ্রাম আদালত নাই, সেইক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, প্রতি একশত শব্দ বা উহার অংশের অন্য পঞ্চাশ পয়সা হিসাবে আদায় করিয়া প্রাসংগিক কোনো নথি অথবা অত্র বিধিমালা অনুসারে রক্ষিত কোনো রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ কোনো বিষয়ের বা উহার অংশবিশেষের নকল সরবরাহ করিবেন ।

 

বিধি-২৫ : (১) যখনই ১০ বা ১১ ধারা অনুসারে ধার্য কোনো জরিমানা ১২ ধারা অনুসারে আদায় করা হয়, অথবা অত্র বিধিমালা অনুসারে কোনো ফী আদায় করা হয়, তখন ৬নং ফরমে উহার রশিদ দেওয়া হইবে, যাহাতে ক্রমিক নম্বর থাকিবে, এবং তাহার মুড়ি অংশ ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে রাখা হইবে ।

(২) অত্র বিধিমালা অনুসারে প্রাপ্ত সকল জরিমানা ও ফী ৭নং ফরমে একটি রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা হইবে ।

 

বিধি-২৬ : অত্র বিধিমালা অনুসারে দেয় সকল ফী ইউনিয়ন পরিষদ তহবিলের অংশরূপে পরিগণিত হইবে ।

 

বিধি-২৭ : মামলার রেজিস্টার এবং ডিক্রি ও আদেশের রেজিস্টারে প্রতি বত্সর গৃহীত হওয়া দরখাস্তের ক্রমানুসারে ও প্রতি বত্সর প্রদত্ত ডিক্রি বা আদেশের ক্রমানুসারে সেইগুলির ক্রমিক নম্বর দেওয়া হইবে ।

 

বিধি-২৮ : গ্রাম আদালতের রেজিস্টারসহ যাবতীয় নথিপত্র ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে জমা দেওয়া হইবে এবং রেজিস্টারসমূহ দশ বত্সর পর্যন্ত ও অন্যান্য নথিপত্র তিন বত্সর পর্যন্ত সংরক্ষিত রাখা হইবে ।

 

বিধি-২৯ : যেক্ষেত্রে ৯ ধারা (৩) উপধারা অনুসারে কোনো অর্থ আদায় করিতে হইবে, সেই ক্ষেত্রে বকেয়া ভূমি রাজস্ব হিসাবে উহা আদায় করার জন্য গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান ৮নং ফরমে উহার বিবরণ থানা নির্বাহী অফিসের নিকট প্রেরণ করিবেন ।

 

বিধি-৩০ : ১২ ধারার (১) উপধারা অনুসারে যে জরিমানা আদায় করিতে হইবে উহার পরিমাণ উল্লেখ করিয়া প্রদত্ত আদেশ ৯নং ফরমে থানা ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে ।

 

বিধি-৩১ : ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রতি বত্সর পহেলা ফেব্রুয়ারি ও পহেলা আগস্টের পূর্বে গ্রাম আদালতসমূহের যথাক্রমে ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাস এবং ৩০শে জুন পর্যন্ত ছয় মাসের কার্যাবলীর রিটার্ন ১০নং ফরমে থানা নির্বাহী অফিসারের নিকট প্রেরণ করিবেন ।

 

বিধি-৩২ : যখন কোনো গ্রাম আদালত এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, উহার বিচারাধীন কোনো মামলার ন্যাবিচারের খাতিরে আসামীর শাস্তি হওয়া বাঞ্ছনীয়; তখন গ্রাম আদালত ১১নং ফরমে উক্ত মামলা ফৌজদারী আদালতে প্রেরণ করিতে পারিবে ।

 

বিধি-৩৩ : যখন সমন অনুসারে বা অন্যভাবে প্রতিবাদী হাজির হইয়া আবেদনকারীর দাবি বা বিরোধ স্বীকার করে এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে দাবি মিটাইয়া দেয় তখন কোনো গ্রাম আদালত গঠন করা হইবে না ।

 

বিধি-৩৪ : যখন গ্রাম আদালত অথবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কোনো পক্ষকে দেয় কোনো অর্থ গ্রহণ করেন, তখন সংশ্লিষ্ট পক্ষের আবেদনের তারিখ হইতে সম্ভব হইলে সাত দিনের মধ্যে সেই অর্থ তাহাকে প্রদান করিতে হইবে ।

 

বিধি-৩৫ : (১) প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদের অফিসে গ্রাম আদালতের একটি সীলমোহর রাখিতে হইবে, যাহা বৃত্তাকার হইবে এবং যাহাতে গ্রাম আদালত কথাগুলিও ইউনিয়ন পরিষদের নাম অঙ্কিত থাকিবে ।

(২) অত্র বিধিমালা অনুসারে প্রদত্ত সকল সমন আদেশ ডিক্রি, নকল ও অন্যান্য কাগজপত্রে গ্রাম আদালতের সীলমোহর ব্যবহৃত হইবে ।

গ্রাম আদালত আইন -২০০৬ 
 
     দেশের প্রতিটি ইউনিয়নের এখতিয়ারাধীন এলাকায় কতিপয় বিরোধ ও বিবাদের সহজ ও দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গ্রাম আদালত গঠনকল্পে প্রণীত আইন
 
 
যেহেতু দেশের প্রতিটি ইউনিয়নের এখতিয়ারাধীন এলাকায় কতিপয় বিরোধ ও বিবাদের সহজ ও দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গ্রাম আদালত গঠন এবং এতদ্‌সংক্রান্ত বিষয়াবলী সম্পর্কে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
 
  
   
  
সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, প্রবর্তন ও প্রয়োগ 
১৷(১) এই আইন গ্রাম আদালত আইন, ২০০৬ নামে অভিহিত হইবে৷

(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে৷

(৩) ইহা কেবলমাত্র ইউনিয়নের এখতিয়ারভুক্ত এলাকায় প্রযোজ্য হইবে৷
  
 
  
   
  
সংজ্ঞা 
২৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে-

(ক) “আমলযোগ্য অপরাধ” অর্থ ফৌজদারী কার্যবিধিতে সংজ্ঞায়িত Cognizable Offence;

(খ) “ইউনিয়ন” অর্থ The Local Government (Union Parishads) Ordinance, 1983 (Ordinance No. LI of 1983) এর section 2 এর clause (26) এ সংজ্ঞায়িত ইউনিয়ন;

(গ) “ইউনিয়ন পরিষদ” অর্থ The Local Government (Union Parishads) Ordinance, 1983 (Ordinance No. LI of 1983) এর section 2 এর clause (27) এ সংজ্ঞায়িত ইউনিয়ন পরিষদ;

(ঘ) “এখতিয়ারসম্পন্ন্ন সহকারী জজ” অর্থ যে সহকারী জজের এখতিয়ারভুক্ত সীমানার মধ্যে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নটি অবস্থিত সেই সহকারী জজ এবং যেক্ষেত্রে অনুরূপ এখতিয়ারসম্পন্ন একাধিক সহকারী জজ রহিয়াছেন সেইক্ষেত্রে অনুরূপ কনিষ্ঠতম সহকারী জজ;

(ঙ) “গ্রাম আদালত” অর্থ ধারা ৫ এর অধীন গঠিত গ্রাম আদালত;

(চ) “চেয়ারম্যান” অর্থ গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান;

(ছ) “তফসিল” অর্থ এই আইনের তফসিল;

(জ) “দণ্ডবিধি” অর্থ Penal Code, 1860 (Act No. XLV of 1860);

(ঝ) “দেওয়ানী কার্যবিধি” অর্থ Code of Civil Procedure, 1908 (Act No. V of 1908);

(ঞ) “নির্ধারিত” অর্থ বিধি দ্বারা নির্ধারিত;

(ট) “পক্ষ” অর্থে এমন কোন ব্যক্তি অন্তর্ভুক্ত হইবে, যাহার উপস্থিতি কোন বিবাদের সঠিক মীমাংসার জন্য প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত হয়, এবং গ্রাম আদালত যাহাকে অনুরূপ বিবাদের একটি পক্ষ হিসাবে সংযুক্ত করে;

(ঠ) “ফৌজদারী কার্যবিধি” অর্থ Code of Criminal Proecedure, 1898 (Act No. V of 1898);

(ড) “বিধি” অর্থ এই আইনে অধীন প্রণীত বিধি;

(ঢ) “সিদ্ধান্ত” অর্থ গ্রাম আদালতের কোন সিদ্ধান্ত৷
  
 
  
   
  
গ্রাম আদালত কর্তৃক বিচারযোগ্য মামলা 
৩৷ (১) ফৌজদারী কার্যবিধি এবং দেওয়ানী কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন তফসিলের প্রথম অংশে বর্ণিত বিষয়াবলী সম্পর্কিত ফৌজদারী মামলা এবং দ্বিতীয় অংশে বর্ণিত বিষয়াবলী সম্পর্কিত দেওয়ানী মামলা, অতঃপর ভিন্ন রকম বিধান না থাকিলে, গ্রাম আদালত কর্তৃক বিচারযোগ্য হইবে এবং কোন ফৌজদারী বা দেওয়ানী আদালতের অনুরূপ কোন মামলা বা মোকদ্দমার বিচার করিবার এখতিয়ার থাকিবে না৷

(২) গ্রাম আদালত কর্তৃক তফসিলের প্রথম অংশে বর্ণিত কোন অপরাধের সহিত সম্পর্কিত কোন মামলা বিচার্য হইবে না যদি উক্ত মামলায় আমলযোগ্য কোন অপরাধের দায়ে কোন ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হইয়া ইতোপূর্বে গ্রাম আদলত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত হইয়া থাকেন, অথবা তফসিলের দ্বিতীয় অংশে বর্ণিত বিষয়াবলীর সহিত সম্পর্কিত কোন মামলাও গ্রাম আদালত কর্তৃক বিচার্য হইবে না, যদি-

(ক) উক্ত মামলায় কোন নাবালকের স্বার্থ জড়িত থাকে;

(খ) বিবাদের পক্ষগণের মধ্যে সম্পাদিত কোন চুক্তিতে সালিশের বা বিরোধ নিষ্পত্তির বিধান থাকে;

(গ) সরকার বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা কর্তব্য পালনরত কোন সরকারী কর্মচারী উক্ত বিবাদের কোন পক্ষ হয়৷

(৩) যে স্থাবর সম্পত্তির দখল অর্পন করিবার জন্য গ্রাম আদালত কর্তৃক আদেশ প্রদান করা হইয়াছে, ঐ স্থাবর সম্পত্তিতে স্বত্ব প্রতিষ্ঠা করিবার জন্য বা উহার দখল পুনরুদ্ধারের জন্য কোন মোকদ্দমা বা কার্যধারার ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে না৷
  
 
  
   
  
গ্রাম আদালত গঠনের আবেদন 
৪৷ (১) যেক্ষেত্রে এই আইনের অধীন কোন মামলা গ্রাম আদালত কর্তৃক বিচারযোগ্য হয সেইক্ষেত্রে বিরোধের যে কোন পক্ষ উক্ত মামলা বিচারের নিমিত্ত গ্রাম আদালত গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, আবেদন করিতে পারিবেন এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, লিখিত কারণ দর্শাইয়া উক্ত আবেদনটি নাকচ না করিলে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, একটি গ্রাম আদালত গঠন করিবার উদ্যোগ গ্রহণ করিবেন৷

(২) উপ-ধারা (১) অধীন আবেদন নামঞ্জুরের আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আদেশের বিরুদ্ধে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, এখতিয়ারসম্পন্ন সহকারী জজ আদালতে রিভিশন করিতে পারিবেন৷
  
 
  
   
  
গ্রাম আদালত গঠন, ইত্যাদি 
৫৷ (১) একজন চেয়ারম্যান এবং উভয়পক্ষ কর্তৃক মনোনীত দুইজন করিয়া মোট চারজন সদস্য লইয়া গ্রাম আদালত গঠিত হইবেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, প্রত্যেক পক্ষ কর্তৃক মনোনীত দুইজন সদস্যের মধ্যে একজন সদস্যকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হইতে হইবে৷

(২) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গ্রাম আদালতের চেয়ারম্য্যন হইবেন, তবে যেক্ষেত্রে তিনি কোন কারণবশতঃ চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করিতে অসমর্থ হন কিংবা তাঁহার নিরপেক্ষতা সম্পর্কে কোন পক্ষ কর্তৃক প্রশ্ন উত্থাপিত হয় সেইক্ষেত্রে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সদস্য ব্যতীত উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের অন্য কোন সদস্য গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান হইবেন৷

(৩) বিবাদের কোন পক্ষে যদি একাধিক ব্যক্তি থাকেন, তবে চেয়ারম্যান উক্ত পক্ষভুক্ত ব্যক্তিগণকে তাহাদের পক্ষের জন্য দুইজন সদস্য মনোনীত করিতে আহ্বান জানাইবেন এবং যদি তাঁহারা অনুরূপ মনোনয়নদানে ব্যর্থ হন তবে তিনি উক্ত ব্যক্তিগণের মধ্যে হইতে যে কোন একজনকে সদস্য মনোনয়ন করিবার জন্য ক্ষমতা প্রদান করিবেন এবং তদানুযায়ী অনুরূপ ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি সদস্য মনোনয়ন করিবেন৷

(৪) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন বিবাদের কোন পক্ষ চেয়ারম্যানের অনুমতি লইয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের পরিবর্তে অন্য কোন ব্যক্তিকে গ্রাম আদালতের সদস্য হিসাবে মনোনীত করিতে পারিবে৷

(৫) এই ধারার অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সদস্য মনোনীত করা সম্ভব না হয়, তবে অনুরূপ সদস্য ব্যতিরেকেই গ্রাম আদালত গঠিত হইবে এবং উহা বৈধভাবে উহার কার্যক্রম চালাইতে পারিবে৷
  
 
  
   
  
গ্রাম আদালতের এখতিয়ার, ইত্যাদি 
৬৷ (১) যে ইউনিয়নে অপরাধ সংঘটিত হইবে বা মামলার কারণ উদ্ভব হইবে, বিবাদের পক্ষগণ সাধারণতঃ সেই ইউনিয়নের বাসিন্দা হইলে, উপ-ধারা (২) এর বিধানাবলী সাপেক্ষে, গ্রাম আদালত গঠিত হইবে এবং উক্তরূপ মামলার বিচার করিবার এখতিয়ার সংশ্লিষ্ট গ্রাম আদালতের থাকিবে৷

(২) যে ইউনিয়নে অপরাধ সংঘটিত হইবে বা মামলার কারণ উদ্ভব হইবে, বিবাদের একপক্ষ সেই ইউনিয়নের বাসিন্দা হইলে এবং অপরপক্ষ ভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা হইলে, যে ইউনিয়নের মধ্যে অপরাধ সংঘটিত হইবে বা মামলার কারণ উদ্ভব হইবে, সেই ইউনিয়নে গ্রাম আদালত গঠিত হইবে; তবে পক্ষগণ ইচ্ছা করিলে নিজ ইউনিয়ন হইতে প্রতিনিধি মনোনীত করিতে পারিবে৷
  
 
  
   
  
গ্রাম আদালতের ক্ষমতা 
৭৷ (১) এই আইনে ভিন্নরূপ কোন বিধান না থাকিলে, গ্রাম আদালত তফসিলের প্রথম অংশে বর্ণিত অপরাধসমূহের ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তিকে কেবলমাত্র অনধিক পঁচিশ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশ প্রদান করিতে পারিবে৷

(২) গ্রাম আদালত তফসিলের দ্বিতীয় অংশে বর্ণিত বিষয়াবলীর সহিত সম্পর্কিত কোন মামলায় অনুরূপ বিষয়ে তফসিলে উল্লিখিত পরিমাণ অর্থ প্রদানের জন্য আদেশ প্রদান করিতে বা সম্পত্তির প্রকৃত মালিককে সম্পত্তি বা উহার দখল প্রত্যার্পণ করিবরা জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবে৷
  
 
  
   
  
গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়া ও আপিল 
৮৷ (১) গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্ত সর্বসম্মত বা চার-এক (৪:১) সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে বা চারজন সদস্যের উপস্থিতিতে তিন-এক (৩:১) সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে গৃহীত হইলে উক্ত সিদ্ধান্ত পক্ষগণের উপর বাধ্যকর হইবে এবং এই আইনের বিধান অনুযায়ী কার্যকর হইবে৷

(২) গ্রাম আদালাতের সিদ্ধান্ত তিন-দুই (৩:২) সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে গৃহীত হইলে, সংক্ষুব্ধ পক্ষ, উক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ত্রিশদিনের মধ্যে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে-

(ক) মামলাটি তফসিলের প্রথম অংশে বর্ণিত কোন অপরাধের সহিত সম্পর্কিত হইলে, এখতিয়ারসম্পন্ন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আপীল করিতে পারিবে; এবং

(খ) মামলাটি তফসিলের দ্বিতীয় অংশে বর্ণিত বিষয়াবলীর সহিত সম্পর্কিত হইলে, এখতিয়ারসম্পন্ন সহকারী জজ আদালতে আপীল করিতে পারিবে৷

(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন আপীলের ক্ষেত্রে, ক্ষেত্রমত, সংশ্লিষ্ট প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা সহকারী জজ আদালতরে নিকট যদি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, বিবেচ্য ক্ষেত্রে গ্রাম আদালত সুবিচার করিতে ব্যর্থ হইয়াছে, তাহা হইলে, ক্ষেত্রমত, সংশ্লিষ্ট প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা সহকারী জজ আদালত গ্রাম আদালতের উক্ত সিদ্ধান্ত বাতিল বা পরিবর্তন করিতে পারিবে অথবা পুনর্বিবেচনার জন্য মামলাটি গ্রাম আদালতের নিকট ফেরত পাঠাইতে পারিবে৷

(৪) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী অনুযায়ী গ্রাম আদালত কর্তৃক কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইলে উহা অন্য গ্রাম আদালতসহ অন্য কোন আদালতে বিচার্য হইবে না৷
  
 
  
   
  
গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্ত কার্যকরকরণ 
৯৷ (১) গ্রাম আদালত কোন ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য অথবা সম্পত্তি বা উহার দখল প্রত্যার্পণ করিবার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিলে, উক্ত বিষয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে, আদেশ প্রদান করিবে এবং তাহা নির্দিষ্ট রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করিবে৷

(২) গ্রাম আদালতের উপস্থিতিতে উহার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দাবী মিটানো বাবদ কোন অর্থ প্রদান করা হইলে অথবা কোন সম্পত্তি অর্পণ করা হইলে গ্রাম আদালত, ক্ষেত্রমত, উক্ত অর্থ প্রদন বা সম্পত্তি অর্পণ সংক্রান্ত তথ্য উহার রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করিবে৷

(৩) যেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য গ্রাম আদালত কর্তৃক আদেশ প্রদান করা হয় এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উক্ত অর্থ প্রদান করা না হয়, সেইক্ষেত্রে চেয়ারম্যান উহা ইউনিয়ন পরিষদের বকেয়া কর আদায়ের পদ্ধতিতে Public Demands Recovery Act, 1913 (Act No. III of 1913) এর অধীনে আদায় করিয়া ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে প্রদান করিবে৷

(৪) যেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ প্রদান না করিয়া অন্য কোন প্রকারে দাবী মিটান সম্ভব, সেইক্ষেত্রে উক্ত সিদ্ধান্ত কার্যকর করিবার জন্য বিষয়াটি এখতিয়ারসম্পন্ন্ন সহকারী জজ আদালতে উপস্থাপন করিতে হইবে এবং অনুরূপ আদালত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করিবার জন্য এইরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে যেন ঐ আদালত কর্তৃকই উক্ত সিদ্ধান্ত প্রদান করা হইয়াছে৷

(৫) গ্রাম আদালত উপযুক্ত মনে করিলে তত্কর্তৃক নির্ধারিত কিস্তিতে ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদানের নির্দেশ দিতে পারিবে৷
  
 
  
   
  
সাক্ষীকে সমন দেওয়া, ইত্যাদির ক্ষেত্রে গ্রাম আদালতের ক্ষমতা 
১০৷ (১) গ্রাম আদালত যে কোন ব্যক্তিকে আদালতে হাজির হইতে এবং সাক্ষী দেওয়ার জন্য অথবা কোন দলিল দাখিল করিবার বা করাইবার জন্য সমন দিতে পারিবেঃ

তবে শর্ত থাকে যে-

(ক) দেওয়ানী কার্যবিধির ধারা ১৩৩ এর উপ-ধারা (১) এ যে ব্যক্তিকে স্ব-শরীরে আদালতে হাজির হইতে অব্যাহতি দেওয়া হইয়াছে তাহাকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হইতে নির্দেশ দেওয়া যাইবে না;

(খ) গ্রাম আদালত যদি যুক্তিসংগতভাবে মনে করে যে, অহেতুক বিলম্ব, খরচ বা অসুবিধা ব্যতীত কোন সাক্ষীকে হাজির করা সম্ভব নয়, তবে আদালত সেই সাক্ষীকে সমন দিতে বা সেই সাক্ষীর বিরুদ্ধে প্রদত্ত সমন কার্যকর করিতে অগ্রাহ্য করিতে পারিবে;

(গ) গ্রাম আদালতের এখতিয়ার বহির্ভূত এলাকায় বসবাসকারী কোন ব্যক্তির ভ্রমণ ও অন্যান্য খরচ নির্বাহ বাবদ, আদালতের বিবেচনামতে, পর্যাপ্ত অর্থ তাহাকে প্রদানের জন্য আদালতে জমা দেওযা না হইলে, গ্রাম আদালত ঐ ব্যক্তিকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য অথবা কোন দলিল দাখিল করিবার বা করাইবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিবে না;

(ঘ) গ্রাম আদালত রাষ্ট্রীয় বিষয়াবলী সম্পর্কিত কোন গোপনীয় দলিল বা অপ্রকাশিত সরকারী রেকর্ড দাখিল করিবার জন্য কোন ব্যক্তিকে নির্দেশ প্রদান করিবে না বা সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধান কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতীত অনুরূপ গোপনীয় দলিল বা অপ্রকাশিত সরকারী রেকর্ড হইতে আহরিত কোন সাক্ষ্য প্রদানের জন্য কোন ব্যক্তিকে নির্দেশ প্রদান করিবে না৷

(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীনে জারীকৃত সমন ইচ্ছাপূর্বক অমান্য করিলে, গ্রাম আদালত অনুরূপ অমান্যতা আমলযোগ্য অপরাধ গণ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে, তাঁহার বক্তব্য পেশের সুযোগ প্রদান সাপেক্ষে, অনধিক পাঁচশত টাকা জরিমানা করিতে পারিবে৷
  
 
  
   
  
গ্রাম আদালতের অবমাননা 
১১৷ (১) কোন ব্যক্তি আইনসংগত কারণ ব্যতীত যদি-

(ক) গ্রাম আদালত বা উহার কোন সদস্যকে আদালতের কার্যক্রম চলাকালে অশালীন কথাবার্তা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, আক্রমনাত্মক বা অন্যবিধ আচরণ দ্বারা কোন প্রকার অপমান করেন; বা

(খ) গ্রাম আদালতের কার্যক্রমে কোনরূপ ব্যাঘাত সৃষ্টি করেন; বা

(গ) গ্রাম আদালতের আদেশ সত্ত্বেও, কোন দলিল দাখিল বা অর্পণ বা হস্তান্তর করিতে ব্যর্থ হন; বা

(ঘ) গ্রাম আদালতের যে প্রশ্নের জবাব দিতে তিনি বাধ্য, সেইরূপ কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করেন; বা

(ঙ) সত্য কথা বলিবার শপথ গ্রহণ করিতে বা গ্রাম আদালতের নির্দেশ মোতাবেক তাহার প্রদত্ত জবানবন্দীতে স্বাক্ষর করিতে অস্বীকার করেন-

তাহা হইলে তিনি গ্রাম আদালত অবমাননার দায়ে অপরাধী হইবেন৷

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনকৃত অপরাধের ক্ষেত্রে, আদালতের নিকট কোন অভিযোগ পেশ করা না হইলেও, গ্রাম আদালত অনুরূপ অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত বাক্তির বিচার করিতে পারিবে এবং তাহাকে অনধিক পাঁচশত টাকা জরিমানা করিতে পারিবে৷
  
 
  
   
  
জরিমানা আদায় 
১২৷ (১) ধারা ১০ ও ১১ এর অধীন ধার্যকৃত জরিমানা পরিশোধ করা না হইলে গ্রাম আদালত সংশ্লিষ্ট তথ্যসহ উক্ত ধার্যকৃত জরিমানার পরিমাণ এবং উহা পরিশোধিত না হওয়ার বিষয় লিপিবদ্ধ করিয়া উহা আদায়ের জন্য এখতিয়ারসম্পন্ন্ন ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট সুপারিশ করিবে৷

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন সুপারিশপ্রাপ্ত হইবার পর সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারী কার্যবিধির বিধান মোতাবেক উক্ত জরিমানা আদায় করিবার জন্য এইরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন যেন উহা তদ্‌কর্তৃক ধার্য হইয়াছে এবং অনুরূপ জরিমানা অনাদায়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করিতে পারিবে৷

(৩) ধারা ১০, ১১ বা উপ-ধারা (২) এর অধীন আদায়কৃত সমস্ত জরিমানা ইউনিয়ন পরিষদের তহবিলে জমা হইবে৷
  
 
  
   
  
পদ্ধতি 
১৩৷ (১) এই আইনে ভিন্নরূপ কোন বিধান না থাকিলে, Evidence Act, 1872 (Act No. I of 1872), ফৌজদারী কার্যবিধি, এবং দেওয়ানী কার্যবিধির নিধানাবলী কোন গ্রাম আদালতে আনীত মামলায় প্রযোজ্য হইবে না৷

(২) গ্রাম আদালতে আনীত সকল মামলার ক্ষেত্রে Oaths Act, 1873 (Act No. X of 1873) এর sections 8, 9, 10 ও 11 প্রযোজ্য হইবে৷

(৩) কোন সরকারী কর্মচারীর বিরুদ্ধে এই আইনের অধীন কোন মামলা দায়ের করা হইলে, তিনি যদি এই মর্মে আপত্তি উত্থাপন করেন যে, কথিত অপরাধ তাহার সরকারী দায়িত্ব পালনকালে বা দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় সংঘটিত হইয়াছে, তাহা হইলে উক্ত অপরাধ বিচারের জন্য তাহার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদনের প্রয়োজন হইবে৷
  
 
  
   
  
আইনজীবী নিয়োগ নিষিদ্ধ 
১৪৷ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, গ্রাম আদালতে দায়েরকৃত কোন মামলা পরিচালনার জন্য কোন পক্ষ কোন আইনজীবী নিয়োগ করিতে পারিবেন না৷
  
 
  
   
  
সরকারী কর্মচারী, পর্দানশীল বৃদ্ধ মহিলা এবং শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তির পক্ষে প্রতিনিধিত্ব 
১৫৷ (১) আদালতের সম্মুখে উপস্থিত হইতে হইবে এমন কোন সরকারী কর্মচারী যদি তাহার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুপারিশসহ এই মর্মে আপত্তি উত্থাপন করেন যে, তাহার ব্যক্তিগত উপস্থিতির ফলে সরকারী দায়িত্ব পালন ক্ষতিগ্রস্ত হইবে, তাহা হইলে আদালত তাহার নিকট হইতে যথাযথভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন প্রতিনিধকে তাহার পক্ষে গ্রাম আদালতের সম্মুখে হাজির হইবার জন্য অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে৷

(২) গ্রাম আদালতের সম্মুখে উপস্থিত হইতে হইবে এমন কোন পর্দানশীল বা বৃদ্ধ মহিলা এবং শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তি আদালতে উপস্থিত হইয়া সাক্ষ্য প্রদান করিতে অসমর্থ হইলে আদালত তাহার নিকট হইতে যথাযথভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন প্রতিনিধকে তাহার পক্ষে আদালতের সম্মুখে হাজির হইবার জন্য অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে৷

(৩) উপ-ধারা (১) বা (২) এর অধীন নিযুক্ত কোন প্রতিনিধি কোনরূপ পারিশ্রমিক গ্রহণ করিতে পারিবেন না৷
  
 
  
   
  
কতিপয় মামলার স্থানান্তর 
১৬৷ (১) যেক্ষেত্রে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনে করেন যে, তফসিলের ১ম অংশে বর্ণিত বিষয়াবলী সম্পর্কিত গ্রাম আদালতে বিচারাধীন কোন মামলার পরিস্থিতি এইরূপ যে জনস্বার্থে ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে কোন ফৌজদারী আদালতে উহার বিচার হওয়া উচিত, সেইক্ষেত্রে, এই আইনে যাহা বলা হইয়াছে তাহা সত্ত্বেও, তিনি গ্রাম আদালত হইতে উক্ত মামলা প্রত্যাহার করিতে এবং বিচার ও নিষ্পত্তির জন্য উহা ফৌজদারী আদালতে প্রেরণের নির্দেশ দিতে পারিবেন৷

(২) কোন গ্রাম আদালত যদি মনে করে যে, উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত কোন বিষয় সম্পর্কিত গ্রাম আদালতে বিচারাধীন কোন মামলায় ন্যায়বিচারের স্বার্থে অপরাধীর শাস্তি হওয়া উচিত্, তাহা হইলে, উক্ত আদালত, মামলাটির বিচার ও নিষ্পত্তির জন্য উহা ফৌজদারী আদালতে প্রেরণের নির্দেশ দিতে পারিবে৷
  
 
  
   
  
পুলিশ কর্তৃক তদন্ত 
১৭৷ এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন মামলার বিষয়বস্তু তফসিলের প্রথম অংশে বর্ণিত অপরাধ সম্পর্কিত হওয়ার কারণে পুলিশ সংশিষ্ট আমলযোগ্য মামলার তদন্ত বন্ধ করিবে না; তবে যদি কোন ফৌজদারী আদালতে অনুরূপ কোন মামলা আনীত হয় তাহা হইলে, উক্ত আদালত উপযুক্ত মনে করিলে, মামলাটি এই আইনের বিধান মোতাবেক গঠিত কোন গ্রাম আদালতে প্রেরণের নির্দেশ দিতে পারিবে৷
  
 
  
   
  
বিচারাধীন মামলাসমূহ 
১৮৷ এই আইন মোতাবেক বিচারযোগ্য যে সকল মামলা এই আইন বলবত্ হইবার অব্যবহিত পূর্বে কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী আদালতে বিচারাধীন রহিয়াছে, উহাদের উপর এই আইন প্রযোজ্য হইবে না, এবং অনুরূপ মামলা অনুরূপ আদালত কর্তৃক এইরূপে মীমাংসা করা হইবে যেন এই আইন প্রণীত হয় নাই৷
  
 
  
   
  
অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষমতা 
১৯৷ সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে কোন এলাকা বা এলাকাসমূহ বা যে কোন শ্রেণীর মামলাসমূহ বা যে কোন সম্প্রদায়কে এই আইনের সকল বা যে কোন বিধানের প্রয়োগ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে৷
  
 
  
   
  
বিধিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা 
২০৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
  
 
  
   
  
রহিতকরণ ও হেফাজত 
২১৷ (১) The Village Court Ordinance, 1976 (Ordinance No. LXI of 1976), অতঃপর রহিত অধ্যাদেশ বলিয়া উল্লেখিত, এতদ্‌দ্বারা রহিত করা হইল৷

(২) উক্তরূপ রহিত হওয়া সত্ত্বেও, রহিত অধ্যাদেশ এর অধীন-

(ক) বিচারাধীন মামলাসমূহের ক্ষেত্রে, মামলার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নসহ, উহাদের নিষ্পত্তি এইরূপে নিষ্পন্ন হইবে, যেন এই আইন প্রণীত হয় নাই;

(খ) প্রণীত সকল বিধি, এই আইনের বিধানালীর সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে রহিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত, কার্যকর থাকিবে৷

 

 

 

 

 

 

আদালতের বিধিমালা বিস্তারিত ক্লিক করুন এখানে

 সংক্ষিপ্ত শিরোনাম আইন নম্বর 
 আদালত অবমাননা আইন, ২০১৩   
 ওয়াক্‌ফ (সম্পত্তি হস্তান্তর ও উন্নয়ন) বিশেষ বিধান আইন, ২০১৩  
 ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হইতে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জারীকৃত কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকরকরণ (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১৩  
 ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ হইতে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জারীকৃত কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকরকরণ (বিশেষ বিধান) আইন,২০১৩   
 পরিসংখ্যান আইন, ২০১৩ ১২ 
 বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড আইন, ২০১৩  ১৩ 
 বাংলাদেশ পানি আইন, ২০১৩  ১৪ 
 এক্সচেঞ্জেস ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন, ২০১৩  ১৫ 
 বাংলাদেশ রাবার বোর্ড আইন, ২০১৩  ১৯ 
 নির্দিষ্টকরণ (সম্পূরক) আইন, ২০১৩  ২১ 
 বাংলাদেশ চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৩  ২৩ 
 শিশু আইন, ২০১৩  ২৪ 
 নির্দিষ্টকরণ আইন, ২০১৩  ২৬ 
 সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ তহবিল বোর্ড আইন, ২০১৩  ২৮ 
 জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন আইন, ২০১৩  ২৯ 
 বাংলা একাডেমি আইন, ২০১৩ ৩৩ 
 মাতৃদুগ্ধ বিকল্প, শিশু খাদ্য, বাণিজ্যিকভাবে প্রস্ত্ততকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য ও উহা ব্যবহারের সরঞ্জামাদি (বিপণন নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩  ৩৫ 
 ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৩ ৩৭ 
 প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩  ৩৯ 
 নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩  ৪৩ 
 মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩  ৪৪ 
 বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ আইন, ২০১৩  ৪৫ 
 বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ আইন, ২০১৩  ৪৭ 
 বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন, ২০১৩ ৪৮ 
 পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন, ২০১৩ ৪৯ 
 নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩ ৫০ 
 নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন, ২০১৩ ৫২ 
 পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৩ ৫৩ 
 ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন, ২০১৩  ৫৪ 
 এশিয়ান রি-ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন আইন, ২০১৩ ৫৫ 
 গ্রামীণ ব্যাংক আইন, ২০১৩  ৫৬ 
 পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড আইন, ২০১৩  ৫৭ 
 ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ ৫৯ 
 বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩  ৬১ 
 বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড আইন, ২০১৩ ৬৪ 
 ভোজ্যতেলে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধকরণ আইন, ২০১৩  ৬৫ 
 বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ আইন, ২০১৩
 মৎস্যখাদ্য ও পশুখাদ্য আইন, ২০১০  
 জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০  
 বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার আইন, ২০১০  
 বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১০   
 জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর আইন, ২০১০  
 ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি আইন, ২০১০ ১০ 
 বাংলাদেশ ন্যাশনাল সায়েন্টিফিক এন্ড টেকনিক্যাল ডকুমেন্টেশন সেন্টার (ব্যান্সডক) আইন, ২০১০ ১১ 
 বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন,২০১০ ১২ 
 বীমা আইন, ২০১০ ১৩ 
 মৎস্য হ্যাচারি আইন, ২০১০  ১৪ 
 ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন, ২০১০  ২৩ 
 চার্টার্ড সেক্রেটারীজ আইন, ২০১০  ২৫ 
 নির্দিষ্টকরণ (সম্পূরক) আইন, ২০১০  ২৯ 
 বাংলাদেশ পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা ও বিশেষ পর্যটন অঞ্চল আইন, ২০১০  ৩১ 
 নির্দিষ্টকরণ আইন, ২০১০  ৩৪ 
 বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ ৩৫ 
 বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড আইন, ২০১০  ৩৭ 
 বাংলাদেশ গ্যাস আইন, ২০১০ ৪০ 
 অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন, ২০১০ ৪২ 
 ইপিজেড শ্রমিক কল্যাণ সমিতি ও শিল্প সম্পর্ক আইন, ২০১০ ৪৩ 
 রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ ৪৮ 
 বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ ৪৯ 
 পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০ ৫৩ 
 বিদ্যুৎ ও জ্বালানীর দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০  ৫৪ 
 প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক আইন, ২০১০ ৫৫ 
 পরিবেশ আদালত আইন, ২০১০  ৫৬ 
 জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট আইন, ২০১০  ৫৭ 
 পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ ৫৮ 
 আন্তজার্তিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট আইন, ২০১০  ৫৯ 
 বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০ ৬১ 
 বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০  ৬২ 
 বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন, ২০১০
 বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন, ২০১১  
 উদ্ভিদ সংগনিরোধ আইন, ২০১১  
 জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ (সুরক্ষা প্রদান) আইন, ২০১১   
 নির্দিষ্টকরণ (সম্পূরক) আইন, ২০১১  
 কর-ন্যায়পাল (রহিতকরণ ) আইন, ২০১১ ১০ 
 ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প (ভূমি অধিগ্রহণ) আইন , ২০১১  ১১ 
 অর্থ আইন, ২০১১  ১২ 
 নির্দিষ্টকরণ আইন, ২০১১ ১৩ 
 ভবঘুরে ও নিরাশ্রয় ব্যক্তি (পুনর্বাসন) আইন, ২০১১ ১৫ 
 পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রন আইন, ২০১১ ১৬ 
 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উন্নয়ন ট্রাস্ট আইন, ২০১১ ১৯ 
 চলচ্চিত্র সংসদ (নিবন্ধন) আইন, ২০১১
২০১২ সনের ১নং আইন হইতে ৪৯ নং আইন পর্যন্ত
 

বছর : আইনের নাম : আইন নম্বর :

 সংক্ষিপ্ত শিরোনাম আইন নম্বর 
 দেওয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১২   
 Public Servants (Retirement) (Amendment) Act, 2012   
 মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২  
 অপরাধ সম্পর্কিত বিষয়ে পারস্পরিক সহায়তা আইন, ২০১২  
 মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২   
 সন্ত্রাস বিরোধী (সংশোধন) আইন, ২০১২   
 ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১২   
 পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২   
 বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল আইন, ২০১২ ১৩ 
 বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমি আইন, ২০১২  ১৪ 
 প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট আইন, ২০১২  ১৫ 
 বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট আইন, ২০১২ ১৮ 
 পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২  ১৯ 
 নির্দিষ্টকরণ (সম্পূরক) আইন, ২০১২ ২০ 
 প্রতিযোগিতা আইন, ২০১২  ২৩ 
 পণ্য উৎপাদনশীল রাষ্ট্রীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান শ্রমিক (চাকুরীর শর্তাবলী) আইন, ২০১২ ২৪ 
 নির্দিষ্টকরণ আইন, ২০১২  ২৭ 
 পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক (অবসর গ্রহণ) (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১২ ২৯ 
 বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২  ৩০ 
 দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১২  ৩৪ 
 পাওয়ার অব অ্যাটর্নি আইন, ২০১২  ৩৫ 
 হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন আইন, ২০১২  ৪০ 
 মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২  ৪৭ 
 টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১২